সমাজকর্ম ভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আমি দীর্ঘ দশ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছি। প্রথম ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরাম অব বাংলাদেশ ২০০১ সালে গঠন করি। যেটার মূল উদ্দেশ্য ছিল যুবকদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতির নীতি নির্ধারণী ধারার সাথে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিকভাবে আরো দৃঢ় করা। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকরা যারা বিভিন্ন সমাজকর্মের সাথে বা সমাজ সংস্থার সাথে যুক্ত থাকে তাদের নিয়ে কাজ করা। যারা সমাজের রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা রাজনীতি করে তারা কিন্তু সমাজের পরিচয় দেয় যে আমি এই সমাজের বাসিন্দা, মানুষ আমাকে পছন্দ করে, আমি এই সমাজ থেকে নির্বাচন করতে চাই, এবং সমাজের মানুষ আমাকে ভোট দিবেন। মূলত সমাজ নিয়েই তো আসনটা, সেখানে বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসেবে নিজেকে প্রচার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
বস্তুত সেই ব্যক্তি সমাজের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রেখেছে নাকি শুধুমাত্র রাজনীতি করার খাতিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বা শুধুমাত্র কর্মীদের সাথে সম্পর্ক রেখেছে?এসবের বাইরেও সম্পর্ক থাকে কিন্তু সেটা শুধুমাত্র পদ পদবীর আশায়।
রাজনীতির বাইরে আরো অনেক সামাজিক কাজ আছে , কিছু খুঁটি-নাটি বিষয়ে সম্পৃক্ত থাকায় সেগুলো তারা আমলে নেয় না। কিন্তু একজন রাজনীতিবিদের উচিত সমাজকর্মীরা যে বিষয়গুলো আমলে নিচ্ছে সে বিষয়গুলো আমলে নেওয়া। রাজনৈতিক নেতাদের সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ করতে হলে নিজেদেরকে সামাজিক অবস্থান তৈরি করতে হবে, এবং সামাজিক বিনিয়োগ সৃষ্টি করতে হবে। এই সামাজিক বিনিয়োগটাই সমাজের মধ্যে।
পূর্বের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক আসনগুলোতে নিজের অবস্থান সৃষ্টি করার চাইতে সমাজের পরিচয় দিয়ে সামাজিক দৃঢ়তার মাধ্যমে কেউ যদি নিজের আসনের জন্য মনোনয়ন চান তাহলে তাকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত হবে, এবং তখনই একজন আদর্শ সমাজকর্মী একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ এ পরিণত হবে।