বাঙালির বয়ানের সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি নয়ন বাঙালি। মূলত আলোচনা করি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের কার্যক্রম নিয়ে । আমরা যারা তৃণমূলের রাজনীতি করি গ্রামপর্যায়ে, ইউনিট পর্যায়, ওয়ার্ড পর্যায়ের সে সকল সাংগঠনিক কর্মী ভাই বোনদের জন্য এবং যারা খুব পরিশ্রম করে আগামী দিনে রাজনীতি তৈরি করতে চায় তাদের জন্যই মূলত এই বয়ানটি সাজানো হয়। আজকে আমরা আলোচনা করতে চায় যে সত্যিকার অর্থে তৃণমূলের প্রাধান্য কতটুকু রয়েছে। তৃনমূলের নেতৃত্ব এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল দলের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। কারণ তৃণমূল এর রাজনীতি যদি শক্তিশালী না হয় তবে বাংলাদেশের রাজনীতি অন্যান্য পরিমণ্ডল শক্তিশালী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কিন্তু তৃনমূলের নেতৃত্ব এর কোন মূল্য হয় না কারন তাদের কথা বলার সুযোগ টা কেন্দ্রের খুব কম থাকে। কারণ কেন্দ্রের যারা নেতৃত্ব দেয় তারা চায় না যে তৃণমূলের সাথে কথা বলে তাদের সময় নষ্ট করা। তারা মনে করে যে তৃণমূলের লোক জনরা এক ধরনের অযোগ্য, সে ধরনের মেধা নেয় , তৃণমূল এত বেশি মাত্রায় তাদেরকে হাইলাইটস করার কোন সুযোগ নাই বা তৃণমূলের এত প্রাধান্য দেয়ার সুযোগ নাই কিন্তু টকশোতে আলোচনায় টেবিল ত্বকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা সেমিনার সিম্পোজিয়াম কর্মশালা সব জায়গায় তৃণমূলের তৃণমূলের নেতৃত্তের কথা বলি।
মূলত বাংলাদেশের রাজনৈতিক, রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গুলো এক ধরনের দাস প্রথা চালু করেছে । যদিও পৃথিবীরতে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়েছে কিন্তু তারা তাদের নিজস্ব গতিতে ক্রীতদাস প্রথা চালু করেছে । তারা মনে করে যে কর্মীদেরকে বিভিন্ন কাজে লাগানো যাবে যেমন যাত্রাপালা যত এত সংখ্যক লোক লাগবে, লোকজন নিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা পয়সার সংগ্রহ করতে হবে বা এই জায়গায় আমার সকল পোস্টার লাগাতে হবে। এই হাজার হাজার পোস্টারে পুরো এলাকাটা দিতে হবে বা 10000 ব্যানার আমার প্রত্যেকটি গ্রামে গঞ্জে লাগিয়ে দিতে হবে । এই যে অর্ডার গুলোতে কাদেরকে দেয়? এই সব কিছুই তৃনমূলের লোকজন কেই দেওয়া হয়।
তার মানে আমাদের এই প্রথা তা হয়তো কাগজে কলমে নাই কিন্তু রাজনীতিতে আমরা এ প্রথা চালু করেছে। এটিকে বন্ধ করতে হবে আরও বেশি সোচ্চার থাকতে হবে । কারণ তাদের কাছে যাতে কেন্দ্র জবাবদিহিতা করতে হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা এই তৃণমূলের এম্পাওয়ার্মেন্ট নিয়ে চিন্তা করছি। শুধুমাত্র এমপি ইলেকশন না শুধুমাত্র পৌরসভার মেয়র কিংবা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে না প্রত্যেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী বিষয় থেকে শুরু করে সবকিছু তৃণমূলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে করা উচিত এবং সেটি করার জন্য তৃণমূল থেকে আরও বেশি মাত্রায় সোচ্চার থাকতে হবে।আরও বেশি মাত্রায় শক্তিশালী হতে হবে। কারন তৃনমূলের হাত ধরেই বড় বড় নেতা উঠে আসে। তাই পরিশেষে বলা যায় যে তৃনমূলের কর্মীরা দলের প্রান - দাস না।
আরও বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিও টা দেখুন এবং কুইজ এর অংশগ্রহণ করুন। সকলকে ধন্যবাদ আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।